Breaking News

ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে বন্যাদুর্গত মানুষকে উদ্ধার, জান-মালের নিরাপত্তা ও ত্রাণ সাহায্য বিতরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকাজ পরিচালনা ও বন্যার্তদের সহযোগিতা প্রদান এখনো পর্যাপ্ত নয়।

এতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যে কোনো দুর্যোগ, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে এক‌টি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

হঠাৎ এই বন্যায় মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় এবং ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

নির্দেশনাগুলো হলো :

সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। গবাদিপশুগুলোকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।

উদ্ধারকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখতে হবে।

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

শুকনো কিংবা রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন, ফিটকিরি/পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রস্তুত রাখতে হবে।

যারা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন তাদের বাড়িঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

বন্যা-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

সব ক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সহায়তার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হবে।

বন্যা-পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণসহ যাবতীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বন্যা-পরবর্তী সময়ে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেজন্য ইউনিটভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

Check Also

বিয়ে করেই ফুলশয্যার আগেই টাকা নিয়ে নববধূ’র পলায়ন

বিয়ের পর দেনমোহরের টাকা নিয়েই নববধূ পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের পর একটি তিন …

Leave a Reply