সরকারি ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীরা ন্যায্য ও বৈষম্যহীন নবম পে স্কেল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। তাদের প্রস্তাবিত নতুন বেতন কাঠামোতে সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম’-এর সদস্যরা এই দাবি জানান। ফোরামের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন না হলে কর্মচারীরা পুনরায় রাস্তায় নামবেন।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালের পে স্কেলে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বর্তমান বাজারদর ও জীবনযাত্রার খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন জরুরি।
প্রস্তাবিত বেতন স্কেল:
সর্বনিম্ন বেতন: ৩২,০০০ টাকা
সর্বোচ্চ বেতন: ১,২৮,০০০ টাকা
গ্রেড সংখ্যা: ১৩টি (১১ থেকে ২০ গ্রেড)
প্রধান ভাতাসমূহ:
বাড়িভাড়া ভাতা: ঢাকা সিটিতে মূল বেতনের ৮০%, অন্যান্য সিটিতে ৭০%, অন্যান্য এলাকায় ৬০%
চিকিৎসা ভাতা: ৬,০০০ টাকা
শিক্ষা ভাতা (সন্তান প্রতি): ৩,০০০ টাকা
যাতায়াত ভাতা: ঢাকায় ৩,০০০, অন্যান্য এলাকায় ২,০০০ টাকা
ইউটিলিটি ভাতা: ২,০০০ টাকা
টিফিন ভাতা: দৈনিক ১০০ টাকা (মাসিক ২,২০০)
বৈশাখী ভাতা: ৫০%
ঝুঁকি ভাতা: ২,০০০ টাকা
অতিরিক্ত ভাতা: পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের কর্মচারীদের জন্য ৪০%
পেনশন ও আনুতোষিক:
পেনশন সুবিধা ৯০% থেকে ১০০% করার দাবি
আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি
ফোরামের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে গঠিত নবম পে কমিশনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে এটি একটি বৈষম্যহীন, বাস্তবসম্মত ও ন্যায্য বেতন কাঠামো প্রস্তাব করবে।